বাংলাদেশ অনলাইন : | মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারি ২০২৫
বরিশাল বনাম সিলেট ম্যাচ। ছবি : বিসিবি
লক্ষ্যটা মাত্র ১২৬ রানের। এই রান তাড়ায় ফরচুন বরিশালের শুরুটা ভালো না হলেও শেষটা হয়েছে দারুণ। দুই ব্যাটার কাইল মায়ার্স ও তাওহিদ হৃদয়ের দাপুটে ব্যাটে হেসেখেলে জয় তুলেছে বরিশাল। চার ম্যাচে এটি দলটির তৃতীয় জয়। আর সিলেট পর্বে দ্বিতীয়। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৮.২ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১২৫ রান তোলে সিলেট। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন আরিফুল হক। বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন জাহানদাদ খান ও রিশাদ হোসেন। জবাব দিতে নেমে মাত্র ১০.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় বরিশাল। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৫৯ রান আসে কাইল মায়ার্সের হাত ধরে।
রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বরিশাল। ইনিংসের প্রথম বলেই কর্নওয়ালের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। রানের খাতাই খুলতে পারেননি তিনি। এরপর আরেক ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্তও ব্যর্থ হন। ৩ বলে মাত্র ৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
এরপর দারুণ এক জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন তাওহিদ হৃদয় ও কাইল মায়ার্স। এই দুইজন ১১৬ রানের জুটি গড়ে। ১২২ রানের মাথায় হৃদয় ফিরলেও জয় পেতে কোনো সমস্যা হয়নি দলটির। ২৭ বলে ৪৮ করেন হৃদয়। সিলেটের হয়ে ২টি উইকেট নেন পেসার তানজিম সাকিব।
ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো হয়নি সিলেটের। শূন্য রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন ওপেনার রনি তালুকদার। তার বিদায়ের ধাক্কা সামাল দেন রাকিম কর্নওয়াল-জাকির হাসান জুটি। ২৭ রানে যোগ হয় তাদের ব্যাটে। এরপর শাহীন আফ্রিদির বলে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কর্নওয়াল।
এরপর জর্জ মানশিকে নিয়ে দারুণ জুটি গড়েন জাকির। এই জুটিতে যোগ হয় আরও ৫৯ রান। মনে হচ্ছিল বড় স্কোর গড়তে পারে সিলেট, যদিও হঠাৎ ছন্দপতনে তা আর সম্ভব হয়নি। দলীয় ৭৬ থেকে ৮৩—মাত্র সাত রান তুলতে পাঁচ উইকেট হারায় দলটি।
এরপর লেজের সারির ব্যাটাররা চেষ্টা করলেও লড়াকু সংগ্রহ গড়তে পারেনি দলটি। প্রথম দুই ম্যাচ হেরে পয়েন্ট টেবিলের ছয়ে আছে সিলেট। প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকতে দ্রুতই দলটির জয়ে ফেরা জরুরি। গত আসরেও তলানীতে থেকেই আসর শেষ করেছিল সিলেট।
Posted ১০:০৯ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারি ২০২৫
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh